বুধবার, ২৯ জুন ২০২২, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
বাহুবল প্রতিনিধি: বাহুবলে সরকারী বরাদ্ধকৃত গভীর নলকুপ থেকে খাবার পানি নেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এক স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ( ৬ এপ্রিল) বিকাল ৪ টার দিকে পুটিজুরী ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে।
এলাকা সুত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার অধিকাংশ গ্রামের নলকুপ গুলোতে চৈত্রের খড়তাপে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট সৃষ্টি হওয়ায় যাদবপুর গ্রামের শাহ আব্দুল আহাদ এর বাসায় সরকারী বরাদ্ধকৃত একটি গভীর নলকুপ থেকে গ্রামের লোকজন খাবার পানি সংগ্রহ করে থাকেন।
বিকাল ৪ টার দিকে শাহ আব্দুল আহাদ এর পাশ্ববর্তী বাসার কদর আলীর স্ত্রী মুমিনা আক্তার (৩০) পানি নিতে আসিলে শাহ আহাদ বাধা প্রদান করে, এতে দোজনের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কদর আলীর স্কুল পড়ুয়া কন্যা পুটিজুরী শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রনীর ছাত্রী ( ১৬) ঘটনাস্থলে আসিলে শাহ আহাদের পুত্র শাহ রাহি, ( ২০) তাকে ঝাপটে ধরে জোর পূর্বক বাসায় নিয়ে শ্লীলতাহানী করে ।
এতে কদর আলীর কন্যার শোর চিৎকারে ঘর থেকে কদর আলী তার মেয়েকে বাচাতে এগিয়ে আসিলে শাহ আহাদ লাটি দিয়ে কদর আলী ও তার স্ত্রীকে আঘাত করলে তারা গুরুতর আহত হলে তাদের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে কদর আলীর অবস্থা আশংকা জনক হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে কদর আলীর স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে আহত অবস্থায় গ্রামবাসি উদ্ধার করে বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে গ্রামবাসি জানান, আজ দীর্ঘদিন যাবৎ শাহ আব্দুল আহাদ বাধারোমের ময়লা আবর্জনা গ্রামের মানুষের চলা চলের রাস্তা দিয়ে নিস্কাশন করায় তার দুর্গন্ধে গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিষয়টি সাবেক চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন আহমেদ ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মুদ্দত আলীকে অবগত করেছেন। এভাবে প্রতি নিয়ত শাহ আহাদ গ্রামের মানুষকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছে।
এ ঘটনায় মুমিনা আক্তার বাদী হয়ে শাহ আব্দুল আহাদ ও তার পুত্র রাহিকে আসামি করে বাহুবল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হচ্ছে।