বুধবার, ২৯ জুন ২০২২, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
মীর দুলাল, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের মাধবপুর ৪ এপ্রিল ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগনের পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয় তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে ।
সোমবার (০৩ এপ্রিল২২) ইং সকালে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শৈলেন কুমার চাকমা , ক্যাপ্টেন (অবঃ)কাজী কবির উদ্দিন ,মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান , বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিগঞ্জ জেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার গৌর প্রসাদ রায় ,
বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান , আঃ সামাদ,আব্দুল মালেক মধু ,ফুল মিয়া , আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনু মাধব রায় , সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্রীধাম দাশ গুপ্ত ,যুবলীগ সভাপতি ফারুক পাঠান ,
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নাসির উদ্দিন খান , আশ্রাফুল জাহান , পঙ্কজ কান্তি দাশ,প্রেসক্লাব সেক্রেটারী সাব্বির আহসান প্রমূখ ।
সভার পূর্বে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পতাকা উত্তোলন করেন অতিথিবৃন্দ ।
সভায় বক্তারা বলেন ১৯৭১ সালের এই দিনে হবিগঞ্জ জেলাধীন মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোতে বসেছিল মুক্তি যুদ্ধের প্রথম বৈঠক ।
এতে মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে জেনারেল এমএজি ওসমানীর নেতৃত্বে ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট ও অবসরপ্রাপ্ত ২৭ জন সেনা কর্মকর্তা অংশ গ্রহন করেছিলেন ।
এ বৈঠকেই সমগ্র দেশকে ৪টি সেক্টরে ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছিল।
পরবর্তী সময়ে যা বৃদ্ধি করে ১১ টি সেক্টর করা হয়েছিল। যুদ্ধকালীন সময়ে তেলিয়াপাড়া ম্যানাজার বাংলোটি ছিল ৩ নং সেক্টর কার্যালয় ।
বর্তমানে ৭১ এর ৩নং সেক্টর কার্যালয়টি ন্যাশনাল টি কোম্পানীর তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানাজার বাংলো ।
তার পূর্ব দক্ষিন কোণে ২,৩ ও ৪নং সেক্টরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত বুলেট আকৃতির স্মৃতিসৌধ ।
১৯৭৫ সালের জুন মাসে এ স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেছিলেন কাজী মোহাম্মদ সফিউল্লাহ বীর উত্তম পিএসসি ।
কিন্তু দীর্ঘদিন পরও তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ঐতিহাসিক ম্যনাজার বাংলোটিকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি যাদুঘরে রুপান্তরিত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা অভিলম্বে তেলিয়াপাড়া ম্যানাজার বাংলোক মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিযাদুঘর ও ৪ঠা এপ্রিলকে তেলিয়াপাড়া দিবস হিসাবে ঘোষনার দাবী জানিয়েছেন ।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষনে কাজ শুরু হয়েছে ।
নথি সৃজন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে!