বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ: টেলিকম প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় জড়িত সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সেই পেশাদার তিন চোরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বিকেলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা পুলিশ আলামত সহ তিন চোরকে আদালতে হাজির করলে জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন বিচারক।
তারা হলেন, উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের কাশতাল চরগাঁও গ্রামের খুরশীদ মিয়ার ছেলে শাহপরান মিয়া (২৫) একই গ্রামের মুরশীদ মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৫), মরম আলীর ছেলে জিলু মিয়া (২১)।
ওই চুরির ঘটনায় জড়িত অপ্রাপ্ত বয়স্ক অপর এক কিশোরকে ঢাকার গাজীপুরের টঙ্গীতে থাকা শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।
প্রসঙ্গত, সোমবার দিনগত রাতে তাহিরপুরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট স্কুল রোডে থাকা টেলিকম প্রতিষ্ঠানের সার্টার ভেঙ্গে টেলিভিশন, মেমোরি কার্ড সহ কয়েক লাখ টাকার মোবাইল ফোন সেট চুরি করে নিয়ে যায় পেশাদার চোর চক্রের সদস্যরা।
এরপর টেলিকম প্রতিষ্ঠানে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখে চোর চক্রের মূল হোতা উপজেলার কাশতাল চরগাঁও গ্রামের খুরশীদ মিয়ার ছেলে শাহপরানকে থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন মঙ্গলবার সকালে। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী দুই সহযোগী, অপর এক কিশোরকে আটক করে চুরি যাওয়া টেলিভিশন, মেমোরি কার্ড ও কয়েক লাখ টাকার মোবাইল ফোন সেট উদ্যার করে পুলিশ।
বুধবার রাতে থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মো. জয়নাল আবেদীন জানান, টেলিকম প্রতিষ্ঠানের স্বওাধিকারী জহিরুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা আসামীদের অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, পেশাদার তিন চোর উপজেলার আমবাড়ি, ফকিরনগর, সোনাপুর, কুকুরকান্দি কাশঁতাল চরগাঁও, বোরোখাড়া গ্রামে ও জামতলা, বাদাঘাট বাজারে গত কয়েক বছরে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই পেশাদার তিন চোরের পরিবারের একাধিক নারী ও পুরুষ সদস্যরা পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে পারিবারীক ভাবেই প্রতিটি চুরির ঘটনায় সহযোগীতা করে আসছিলো।