• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৯ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বাহুবলের মানবদরদী হাজী দুলাল, নীরবে দান করাই যার কাজ

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

করাঙ্গীনিউজ: হবিগঞ্জের বাহুবলের এক মানবদরদী ব্যক্তির নাম হাজী দুলাল মিয়া। নীরবে দান করাই যার কাজ। মানুষের পাশে দাড়ানোর ব্রত নিয়েই হয়ত তার জন্ম হয়েছিল। তবে তিনি বিষয়টি প্রচার করতে রাজি নন।

মানবদরদী হাজী দুলাল মিয়া উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন সফল ঠিকাদারী ব্যবসায়ী। ঠিকাদারীর পাশাপাশি রয়েছে অন্যান্য ব্যবসাও।

জেলা শহরে তার নিজস্ব বাস ভবন থাকলেও তিনি সেখানে থাকেন না। মা ও মাঠির টানে তিনি তার নিজ গ্রামেই বসবাস করেন, উদ্যেশ্য একটাই নিজ এলাকা তথা উপজেলার মানুষদের পাশে থাকা।

তিনি ফজরের নামাজ আদায় করেই বেরিয়ে পড়েন রিজিকের সন্ধানে। ব্যবসা বানিজ্য সামলিয়ে লেগে পড়েন সমাজ সেবার কাজে।

সমাজের আনাছে কানাছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে ঠিকে থাকা ব্যক্তি হিসাবে রয়েছে হাজী দুলালের পরিচিতি। যেখানেই ডাক পড়বে সেখানে ই ছুটে যান হাজী দুলাল মিয়া।

হাজী দুলাল মিয়া বংশগতভাবেই ব্যবসায়ী। ব্যবসা থেকেই তিনি আজ শিল্পপতি। তিনি কখনোই শিল্পপতি নিজেকে মনে করেন না। উনার পাজারো গাড়ি থাকলেও তিনি খুব বেশি গাড়িতে চড়েন না। সারাদিন ব্যবসার কাজ শেষ করে একটি টর্স লাইট হাতে নিয়ে লুঙ্গি পড়ে হেটে হেটে বাড়িতে আসা যাওয়া করেন, তার কারন তিনি অভাবীদের খোঁজ খবর নেন। তাদের মাথায় হাত ভুলিয়ে দেন।

তিনি নীরবে এলাকার অসহায়দের পাশে থেকে তাদের উপকার করেন। তবে সেটা কখনোই তিনি প্রচার করেন নি, প্রচার করতে চানও না।

এলাকার অসহায় হতদরিদ্রদের ভালবাসার আরেক নাম হাজী দুলাল মিয়া। প্রতিদিন বিভিন্ন অভাব অনটন নিয়ে তার বাড়িতে লোকজন জড়ো হয়। কাউকে তিনি খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। কাউকে ঘর তৈরি করে দেয়া, মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া, পানির জন্য টিউবওয়েল দেয়াসহ সব কাজই তিনি করে দেন তাদের।

সঠিক বিচার করে দিতে ডাক পড়ে হাজী দুলালের। ঘুনে ধরা সমাজে টাকার মাতব্বরদের কাছে যখন মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ে তখন ডাক পড়ে হাজী দুলালের। ঘুনে ধরা সমাজের সঠিক বিচারে রয়েছে তার বিশাল ভূমিকা।

হাজী দুলাল শুধু একটি নামই নয়, একটি ইতিহাস। অসহায় হতদরিদ্রদের আস্থাভাজন এখন হাজী দুলাল।

পশ্চিম জয়পুর গ্রামের দিনমজুর কদ্দুছ বলেন, আমি দৈনিক রুজে কাজ করি,আমি অসুস্থ হওয়ায় কাজে যেতে পারিনি, হাজী সাহেব আমাকে বাজারের জন্য টাকা দিয়েছেন।

স্বর্ণরেখ গ্রামের বিধবা জরিনা খাতুন বলেন, হাজী সাহেবের সামনে গেলেই তিনি পকেট থেকে টাকা বের করে দিয়ে দেন, উনার কাছে খোঁজা লাগেনা।

মীরেরগাও গ্রামের নুরুল বলেন, যখনই হাজী সাহেবের কাছে গেছি কখনো তিনি আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি।

মীরের গাও গ্রামের জনোফা নামের এক নারী বলেন, টাকার অভাবে আমার মেয়েটাকে বিয়ে দিতে পারিনি, উনার কাছে গেলে তিনি আমার মেয়ের বিয়ের সব কিছুর আয়োজন করে দেন, আল্লাহ যেন উনার ভাল করেন।

উনার ওয়ার্ড মেম্বার ও আসন্ন মিরপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামীম আহমদ বলেন, তিনি খুব ভাল মানুষ। তিনি একটু গরম মানুষ,তবে উনার দান খায়রাত করার মন মানষিকতা আছে। তিনি প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা নীরবে দান করতে দেখিছি। তিনি খুব সৎ মানুষ।

হাজী দুলাল মিয়া বলেন, বড়লোক হয়ে শুধু বেঁচে থাকাই মানব জীবনের উদ্দেশ্য নয়। অন্যের প্রেমে ও সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেবার মাঝেই জীবনের সুখের পরিপূর্ণতা পাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ