বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: দুইদিনের ভারী বর্ষণে হবিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। তবে খোয়াই নদীর পানি এখনো বিপদসীমার এক মিটার (১০০ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ইতোমধ্যে কুশিয়ারা তীরের নিম্নাঞ্চল বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাতভর ও শুক্রবার (১২ জুলাই) সারাদিন ভারী বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পানি কুশিয়ারা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এছাড়া কুশিয়ারার পাশ্ববর্তী নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি বাড়িঘরের বাসিন্দারা। এখনো প্রতিনিয়ত নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা যায়, অনেক স্থানে নদীর তীর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করছেন। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার দিগলবাক, পার্কুল, আলীপুর, করিমপুর, ইনাতগঞ্জ, কসবা, নতুন কসবা, কাতিয়া, ফেসি, আটগর, মাধবপুর, কারনিছড়, জলালপুর, সৈয়দপুর, ফাইলগাঁও, পুরান আলাকন্দিসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
এছাড়া বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী, সাওদেশ্বরী, ধীতপুর ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর, বদলপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। রাতে বৃষ্টি হলে ঐসব এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। Это всего лишь возбуждающее начало, смотри подробности… тут, переходи по ссылке
এদিকে খোয়াই নদীর পানি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাতে ভারতের আসাম-ত্রিপুরা রাজ্যে বৃষ্টি হলে খোয়াই নদীও ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে। মাধবপুরের সুনাই নদীর পানিও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানেও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর দুর্বল অংশগুলোতে মেরামত কাজ চলছে। এছাড়া খোয়াই নদীতে পানি বাড়লে আশঙ্কার কিছু নেই। কারণ নদীর বাঁধের প্রত্যেকটি দুর্বল ও গতবছরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামত করা হয়েছে।’