• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:০৭ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বাহুবলে চাচাত ভাইকে ছুরিকাঘাত, আটক ১

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: সোমবার, ৩ মে, ২০২১

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:  হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার শংকরপুর গ্রামে অবৈধভাবে সম্পত্তি জবর দখলের প্রতিবাদ করায় আপন চাচাত ভাই আবুল হাসান চৌধুরীকে খুন করতে প্রকাশ্যে দিবালোকে ছুরিকাঘাত করে শুয়েব।

ছুরিকাঘাত করে বীরদর্পে রক্তামাখা ছুরিটি শোয়েব নিজের ফার্মেসী দোকানে সংরক্ষণ করে ও দোকানে ক্যাশে বসে থাকে। আর গুরুতর আহত আবুল হাসানকে রক্তাক্ত অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ২ মে বিকাল ৪টারদিকে বাহুবল হামিদনগর সিএনজি স্ট্যান্ডে। এসময় আহমত আবুল হাসান সওদা বাজার করে বাড়িতে ফেরার জন্য সিএনজি অটোরিক্সায় বসেছিল।

হামলার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ হামলাকারী শোয়েবের ফার্মেসী দোকান থেকে রক্তামাখা ছুরিসহ শোয়েবকে আটক করে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ।

এদিকে খোজ নিয়ে জানা যায়, আবু ছালেহ চৌধুরীর পুত্র আহত আবুল হাসান চৌধুরী চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তাকে গত সপ্তাহেও শোয়েব চৌধুরী বাহুবল হাইস্কুল মার্কেটের সামনে খুন করতে পাকড়াও করছিল। কিন্তু সুবিধা করতে না পারায় অভিযান সফল হয়নি।

বিষয়টি আচঁ করতে পেরে গত ২৬ মার্চ শোয়েব তাকে যেকোন সময় খুন করতে পারে মর্মে বাহুবল মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী (নং ১১৬০) করেন। জিডির এক সপ্তাহের মাথায়ই হাসানকে খুন করতে প্রস্তুতি নেয় শোয়েব চৌধুরী । প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই আজকের ছুরিকাঘাত।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর পূর্বে শোয়েবের অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে পিতা আব্দুল কাইয়ুম ওরফে চমক মিয়া বিষ পানে আত্মহত্যা করেন। ১১/১২ বছর পূর্বে একই গ্রামের স্কুলগামী এক ছাত্রীকে উত্যক্তের দায়ে পুলিশ শোয়েবকে আটক করেছিল। পরে স্থানীয় তদবিরে মুচলেকায় মুক্তি পায়। পরবর্তী সময়ে আহত আবুল হাসানের বোনকেও উত্যক্ত করতো। এ নিয়েও বাহুবল থানায় জিডি হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বাহুবল বাজারের হামিদনগর মকছুদ মঞ্জিল মার্কেটের সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভোগদখল করে আসছিল শংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে হামিনগরে বসবাসরত শুয়েব চৌধুরী। এনিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সম্পত্তির সুষ্ঠু মিমাংসার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের দ্বারস্থ হন শুয়েবের আপন চাচা আবু ছালেহ চৌধুরী ও ফুফু জাহেদা বেগম চৌধুরী। কিন্তু বেপরোয়া শোয়েব ও তার মা’ বোন অবৈধ সম্পত্তির ভোগদখল ছাড়তে রাজী হননি। ফলে জাহেদা বেগম চৌধুরী বাদী হয়ে শোয়েবসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

পারিবারিক ও অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থানীয় সুবিধাভোগী চক্র অবৈধ জবরদখল শোয়েব ও তার পরিবারকে অপকর্মে সাহস যুগিয়ে আসছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ