বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট: সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় পুলিশ সিসিক ও পরিবহন শ্রমিকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।
বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও সিসিকের প্রকৌশলী বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করা হয়। পৃথক অভিযোগে দায়েরকৃত তিনটি মামলায় আসামি করা হয়েছে তিন শতাধিক।
সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক ফয়সল আহমদ আহাদকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র মামলা করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতেই এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আহাদকে অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার দুপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গ্রেফতারকৃত আহাদ পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে গুলি ছোড়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে অস্ত্রসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশ তার কাছ থেকে ৩ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করে।
নগরীর চৌহাট্টায় সংঘর্ষের সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে উত্তেজিত হয়ে পরিবহন শ্রমিকরা পুলিশের ওপর অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মামলা চালায়। এ সময় পুলিশের কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হন। পুলিশের কাজে বাধাদান ও হামলার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় এসআই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে ১৭ জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত আরও দেড় শতাধিককে আসামি করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করে।
অপরদিকে সিটি করপোরেশনের কাজে বাধা প্রদান, কাউন্সিলর ও সিসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে আরেকটি মামলা করেন সিসিকের উপসহকারী প্রকৌশলী দেবব্রত দাস।
তিনি ১০ জনকে এজাহার নামীয় ও আরও দেড় শাতাধিককে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করেছেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও সিসিক বাদী হয়ে পৃথক আরও একটি মামলা করেছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে পুলিশ সংঘর্ষকারীদের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। তবে অহেতুক কেউ যাতে হয়রানি শিকার না হয়, এ ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক হয়ে অভিযান চালাচ্ছে।