• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

নির্বাচন পেছানো হবে কিনা সিদ্ধান্ত আজ

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮

করাঙ্গীনিউজঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানো হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ সোমবার।

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটি জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।

এ সময় তিনি বলেন, কোন দল কি আবেদন করেছে, সে বিষয়ে আমি এখনও কিছুই জানি না। সব কিছু জেনে সোমবার জানানো হবে।

এ ছাড়া রাজনৈতিক দল ও জোটের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ পেছানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জোর গুঞ্জন রয়েছে।

রোববার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কক্ষে অন্য কমিশনারদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর এ গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়ে ইসিতে চিঠি দিয়েছে।

ইসিতে বিএনপির প্যাডে চিঠি পাঠায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোট। এতে নির্বাচনের তফসিল এক মাস পেছানোর দাবি জানানো হয়।

অন্যদিকে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের তফসিল এক সপ্তাহ পেছানোর দাবি জানিয়েছে। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জানান, নির্বাচন পেছানোর দাবির বিষয়ে কমিশনারদের সঙ্গে আলাপ করে তিনি আজ সিদ্ধান্ত জানাবেন।

কেএম নুরুল হুদা বলেন, এ বিষয়ে কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলব। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো কথা হয়নি।

এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারা জাতীয় নির্বাচন এক মাস পেছানোর দাবিও জানিয়েছে। আমরা তাদের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব।

রোববার বিকালে রংপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস মিলনায়তনে দুদিনব্যাপী এক কর্মশালায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।

নাম প্রকাশ না করে ইসির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আজ কমিশনের কোনো নির্ধারিত সভা নেই। নির্বাচনের তফসিল পরিবর্তন বা নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে কমিশনের সভার প্রয়োজন হবে।

এদিন নির্বাচন কমিশনাররা ইভিএম মেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। তবে তারা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন পেছালে তাদের কোনো আপত্তি নেই। সব দল ও জোট চাইলে নির্বাচন কমিশন পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে পারে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সব রাজনৈতিক দল চাইলে নির্বাচন কমিশন আগামী সংসদ নির্বাচন পেছাতে পারে।

রোববার নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সুজনের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাতের পর বদিউল আলম মজুমদার এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সচিব জানিয়েছেন-নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি কমিশন শেষ করেছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় নির্বাচনের হলফনামা প্রচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রচারে ইসি সুজনকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এক মাস পেছানোর দাবি করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- বিএনপিসহ ২০-দলীয় ঐক্যজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গণতন্ত্র উদ্ধারের অংশ হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতামত উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে যে তফসিল ঘোষণা করেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের তফসিল এক মাস পেছানোর দাবি করা হয়।

অন্যদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এক সপ্তাহ পেছানোর দাবি জানিয়ে যুক্তফ্রন্টও ইসিকে চিঠি দিয়েছে। বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, তফসিল নিয়ে আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী স্বল্প সময়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ, যাচাই-বাছাই, সাক্ষাৎকার ইত্যাদি ব্যবস্থা করা কঠিন হবে।

নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১৯ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৬ নভেম্বর করা হোক।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২২ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৯ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ২৯ নভেম্বরের পরিবর্তে ৫ ডিসেম্বর করা হোক। অনুরূপভাবে ভোটগ্রহণের তারিখ ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর করা হোক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ