• Youtube
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০০ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বাহুবলে তাঁতীলীগ নেতার নেতৃত্বে মা ছেলেকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা তাঁতীলীগের আহব্বায়ক রাসেলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পেটুয়া বাহিনী মা ছেলেকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৪ জন। মা ছেলেকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

গুরুত্বর আহত আব্দুল আউয়াল (৩৫), রুবেল ও তার মা সফিনা খাতুন (৫৫) কে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এসময় সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ফয়সল ও রুবেলকে আহত করে।

এদিকে দ্বিতীয় দফায় সন্ধ্যার পর বাহুবল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি আসার পথে মিরপুর বাজারে রাসেলের পেটুয়া সন্ত্রাসীরা আবারো ফয়সল ও রুবেলের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আহত করে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন সোমবার বেলা ১টার দিকে সাবেক বাহুবল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ আলী ও তার ছেলেক কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ব্যাপারে আহত মুক্তিযোদ্ধা বাদী হয়ে রাসেল মিয়াসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বাহুবল মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আকবর আলীর পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ ফিরোজ মিয়ার সাথে প্রতিবেশী মৃত জাফর আলীর পুত্র বাহুবল উপজেলা তাঁতীলীগের আহ্বায়ক রাসেল মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন দুপুর ১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফিরোজ মিয়ার পুত্র ফয়সল মিয়া তাদের পুরাতন বাড়িটি দেখতে যায়।

এ সময় রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে তার ভাই ফারুক মিয়া ও আলকাছ মিয়া সুমনসহ ৫/৬ ব্যক্তি ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ফয়সলের উপর হামলা চালায়। ফয়সল মিয়া হামলার শিকার হয়ে সুরচিৎকার শুরু করলে তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফিরোজ মিয়াসহ লোকজন এগিয়ে যান। এ সময় হামলাকারীরা ঐ মুক্তিযোদ্ধাকেও পিটিয়ে আহত করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন পিতা পুত্রকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফিরোজ মিয়া বাদী হয়ে রাসেল মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৩ জনের বিরোদ্ধে বাহুবল মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাসেল মিয়া ও লোকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় জবর দখল, চাঁদাবাজীসহ সন্ত্রাসী রাহাজানী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে এলাকার নিরীহ লোকজন তাদের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছেন। এছাড়া দুই মাস আগে মিজানুর রহমান নামের এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠান রাসেল মিয়া।

হবিগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মুদ্দত আলী বলেন, সে সভাপতি নয় আহব্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, প্রতিবেশিদের সাথে এমন আচরন ঠিক নয়, ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের মোবাইলে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ