বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ: একটি দুর্ঘটনায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী নদী আক্তার। চিকিৎসকরা তার জীবন বাচাঁতে গিয়ে দুটি পা কেটে ফেলেছেন। এছাড়াও তার শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঝলছে গেছে। নদী এখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
গত ৫ জুলাই পুলিশ সুপার বরাবরে এমনি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নদীর পিতা মোঃ রফিক মিয়া। দুর্ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কাছে ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে নদীর পরিবার।
নদী আক্তারের পিতা রফিক মিয়া হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। থাকেন দক্ষিণবড়চর এলাকায় ভাড়া বাসায়।
সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মে সন্ধ্যায় নদী ও তার এক সহপাঠী পাশের বাসার মর্জিনা খাতুন নামে এক মহিলার মালিকানাধীন ভবনের ছাদে বেড়াতে যায়। ছাদে বিদ্যুতের মেইন লাইন খোলা অবস্থায় ফেলে রাখা তারের সাথে জড়িয়ে যায় নদী । তাকে সঙ্গে সঙ্গে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল পরে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে নদীকে নেয়া হয় ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার দুটি পা হাটু পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়। এখনো নদী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার জন্য এলাকার গণ্যমান্য লোকজন ব্যর্থ হলে নদীর পিতা রফিক মিয়া শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২২ জুন এসআই ওয়াদুদ ঘটনাস্থলে যান এবং তদন্ত করেন। তবুও মামলা রুজু হয়নি। এমতাবস্থায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন রফিক মিয়া।
নদীর পিতা রফিক মিয়ার আকুতি টাকার অভাবে সন্তানের চিকিৎসা প্রায় বন্ধ হবার পথে। তার মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। আরও অনেক টাকা দরকার। গরিব হওয়ায় এত টাকা তাদের পক্ষে জোগার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মেয়েকে বাঁচাতে আইনগত সহযোগিতা ও চিকিৎসা সহায়তা সমাজের বিত্তবানদের কাছে চেয়েছেন তিনি।