শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দু’টি পরিবারকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কারখানা গ্রামের
মৃত- আব্দুল হেকিমের পুত্র মোঃ আব্দুল আউয়াল বুধবার (১ জুলাই) দুপুরে নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।
পূর্ব শক্রতার জের ধরে এবং ভুমি জবর দখলে বাধা প্রদান করায় তাদেরকে প্রভাবশালী মহল একঘরে করে রেখেছে বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন ওই গ্রামের মৃত হাজ্বী আকবর উল্লাহর পুত্র খালিছ মিয়া, আবু সালেহ জীবনের নেতৃত্বে আমি ও আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানি করতে বিভিন্নভাবে নানা হুমকি ধামকি দিয়ে আমার জমি ঝবর দখলের প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এই চক্র ও গ্রাম্য মোড়ল খালিছ মিয়া আমার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গত ১৫/০৬/২০২০ইং তারিখে রাত ৮টায় তার নিজ বাড়ীতে গ্রাম্য পঞ্চায়েত জমায়েথ মিটিং করিয়া তার সভাপতিত্বে উক্ত সভা পরিচালনা করেন।
খালিছ মিয়া, আব্দুল ছালিক, আব্দুল মোতালিব, আতাউর, ফরহাদ, জুলহাদ, শাফিল, শ্যামল, শিমল, বোলন, মতক্কির, সোহেল, লেবু মিয়া গংরা সহ আরো অনেকের বক্তব্যে ও প্রস্তাবে সভাপতি খালিছ মিয়া মিয়া আমাকে মিথ্যা ভিত্তিহীন সাজানো নাটকে দোষী সাব্যস্ত করিয়া আমার অনুপস্থিতিতে আমার বিরুদ্ধে সামাজিক বিচারের রায় প্রদান করে আমি অসহায় আব্দুল আউয়াল ও আমার পরিবারকে পাঁচের বাদ করে সাথে আমার চাচা ফয়জুর রহমান ও তার পরিবারকেও পাঁচের বাদ অর্থ্যাৎ একঘরী করে রাখার সিদ্ধান্ত ও রায় দেন।
গ্রাম্য মোড়ল খালিছ মিয়া ও আবু ছালেহ জীবন ও আতাউর রহমান গংলা ওই জঘন্যতম রাষ্ট্র বিরোধী সর্বনাশা সিদ্ধান্ত তারা উপনীত হয়ে আমরা ২টি পরিবারকে গ্রাম্য পঞ্চায়েতের বাদ দিয়ে একঘরী করে রাখেন। তারা এই সিদ্ধান্ত দেয়া মাত্রই খালিছ মিয়ার ব্যবহ্রত মোবাইল নং ০১৭১৯-১৬২৮০৮ ওই নাম্বার থেকে আমার চাচা ফয়জুর রহমান এর ব্যবহ্রত মোবাইল নং ০১৭৫৫-৮৬৪৩৭২ তে ফোন করে তিনি জানান আমরা গ্রামের পাঁচের বাদ।
গত ১৮/০৬/২০২০ইং আমার কৃষিকাজে ব্যবহৃত দু’টি নৌকা সরকারি খালে রক্ষিক ছিল গ্রাম্য মোড়ল খালিক মিয়া, আবু ছালেহ ও আতাউর গংদের নেতৃত্বে তারা
আমার নৌকাগুলো ভেঙ্গে ফেলেন। আমার চাচার একটি বেইল জাল বোয়াইল্লা নদী থেকে বেলের বাঁশ সহ তুলে নেয়। তারা জালের বাশ ভেঙ্গে নদী থেকে জোরপূর্বক মারপিঠ করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পরে আমার চাচার ঘর দরজা ভেঙ্গে মেয়েলোকদেরকে মারপিঠ করে এবং শ্লীলতাহানি করে এবং তাদের লোকজন ওই দু’টি পরিবারের সদস্যদেরকে একঘরে করে রাখার পাশাপাশি নানা ভাবে হুমকি ধামকি প্রর্দশন, চাঁদা দাবী এবং ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দিয়ে হয়রানী করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
একঘরে করে রাখায় আব্দুল আউয়ালসহ দু’টি পরিবারের লোকজন কোথায়ও যেতে পারছেন না এমনকি সরকারী রাস্তাও তারা ব্যবহার করতে পারছেন না। ফলে তারা সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে গত ২৮ জুন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক ও থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পালের
সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে যথা সম্ভব আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।