করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

নির্ধারিত স্থানের বাহিরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মানের উদ্যোগ॥ ক্ষোভ

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় নির্ধারিত স্থানের বাহিরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ/স্মৃতিস্তম্ভ এবং ১৯৭১ এর বধ্যভ’মি/গণকবর এর তথ্য আহবান করলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ৬টি স্থানের তালিকা প্রেরণ করে। পরবর্তিতে উপজেলায় একটি স্মৃতিসৌধ নির্মানের অনুমোদন হয়। হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর গত ২০ আগস্ট চুনারুঘাটে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য ২৯ লাখ ৭১ হাজার ৫২১ টাকা ব্যয়ে টেন্ডার আহবান করে। কিন্তু স্মৃতিসৌধের স্থান নির্ধারন করা হয় উপজেলার পীরেরগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে। সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য ঠিকাদারও নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার এ ব্যাপারে কিছুই জানেনা। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখানে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। উপজেলায় ৬ থেকে ৭টি গণকবর ও মুক্তিযোদ্ধাদের নানা স্মৃতি থাকলেও কোন স্মৃতিচিহ্ন নেই এমন স্থানে স্মৃতিসৌদ নির্মানে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক উপজেলা কমান্ডার আব্দুস ছামাদ গত ৪ অক্টোবর এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর পত্র প্রেরণ করেন। তিনি পত্রে উল্লেখ করেন, কিভাবে স্থানটি নির্ধারন করা হয়েছে তা তাদের বোধগম্য হয়নি। চুনারুঘাট উত্তর বাজার পুরানো খোয়াই নদীর পশ্চিম পাড়ের কণকবর সংরঙ্খণের জন্য তাদের দাবী ছিল। পীরেরগাঁওয়ে কোন মুক্তিযোদ্ধের স্মারক নেই।

তিনি বলেন, চুনারুঘাটে ৫জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আছেন। রয়েছে অসংখ্য গণকবর ও স্মৃতিবিজরিত স্থান। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে এভাবে টেন্ডার করায় তারা হতবাক হয়েছেন। এই টেন্ডার বাতিল করে চুনারুঘাট উত্তর বাজার পুরানো খোয়াই নদীর পশ্চিম পাড়ের কণকবর সংরঙ্খণের দাবী জানান তিনি।

জেলা মুুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার এডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠানও এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান। কোন ধরনের যোগাযোগ ছাড়া এ ধরনের টেন্ডার আহবান মুক্তিযোদ্ধাদেরকে আহত করেছে বলে জানান তিনি।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ফজলুল জাহিদ পাভেল জানান, বিষয়টি তারা অবগত নন।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাকির সেকান্দার জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রস্তাব আসায় স্থানীয় সরকার বিভাগ টেন্ডার করেছে। এখন যেহেতু আপত্তি এসেছে তাই জেলা প্রশাসকের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন ইকবাল জানান, যখন স্মৃতিসৌধের স্থান নির্ধারন করা হয়েছিল তখন আমি ছিলাম না। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ