শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৭ অপরাহ্ন
আকতার হোসেন ভুইয়া, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে করোনা সংকটে দুস্থ ও কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন গোকর্ণ সৈয়দ পরিবারের তিনভাই।
উপজেলার গোকর্ণ গ্রামের কৃতি সন্তান উত্তরা মহিলা মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ ইসরার কামাল,উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল ও সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ মোঃ শাহীনের উদ্যোগে এসব সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।
শুক্রবার সকালে গোকর্ণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে ৩০০ পরিবারের মাঝে নুরপুর বাজার চত্বরে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন নাসিরনগর আধুনিক হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও অর্থপেডিকস বিশেষঞ্জ সার্জন ডা. ইসরার কামাল । এ সময় গোকর্ণ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোঃ শাহীন, শহীদ মাষ্টার,সাবেক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবদুল হামিদ খান,নেছার মাষ্টার,সৈয়দ টিটু,মনু মিয়া,রুহুল আমিন,মোঃ এমরান,মোঃ শরীফ,জোহান ও সিরাজ মিয়াসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে গত ৮ মে গোকর্ণ ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ডের ৬০০ অসহায় দুস্থ গরীব পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল,ডাল,তেল,পেয়াঁজ,আলু ও একটি করে হাত ধোয়ার সাবান।
সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ মোঃ শাহীন বলেন করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি। তাই আমরা তিনভাই গোর্কণ ইউনিয়নের ৯‘শ গরিব ও দিনমজুদের হাতে এ খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছি।আমাদের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার সাথে প্রবাসী সৈয়দা ডঃ জাফরী আল কাদরী,সৈয়দ লায়ন শরীফ,সৈয়দা রুকশানা,সৈয়দ জাকরিয়া,সৈয়দ নলেজ,সৈয়দ আমান,সৈয়দ নাসিম,সৈয়দা সাবরিনা,সৈয়দা আকলিমা,সৈয়দা শিল্পী,সৈয়দা কবিতা,সৈয়দ নিশান,সৈয়দ নিক্কন,মনি সিদ্দিকী,রাশেদা চৌধুরী সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। আমরা তিনজন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
উত্তরা মহিলা মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ ইসরার কামাল বলেন করোনা ভাইরাসের প্রভাবের কারণে এলাকার অসহায় দুস্থ গরীব মানুষগুলো পরিবারের সসদ্যদের মুখে দু‘মুঠো খাবার তুলে দিতে হিমসিম খাচ্ছে। তারা অসহায় হয়ে পড়েছে। এই সময়ে আমাদের সবাইকে তাদের পাশে দাড়ানো উচিত।