• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

মাধবপুরে পাইপ দিয়ে বালু উত্তোলন করায় ফসলি জমি নষ্ট

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের বানেশ্বর এলাকার কৃষি জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করার ফলে সফলি জমি নষ্ট করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। হাজী আশরাফ আলীর ছেলে হাফেজ মোবারক তাদের পারিবাকি জমি ক্ষতির অভিযোগ এনে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বানেশ^র গ্রামের উসমান মিয়র ছেলে লুৎফুর রহমান ও অলিউর রহমান সহ কয়েকজন মিলে ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর হাফেজ মোবারক মিয়ার জমির দক্ষিন পশ্চিম দিকে ২ টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে গর্ত সৃষ্টি করে। এতে হাফেজ মোবারক মিয়ার জমির বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে গর্তে পরে যায়।
এ ঘটনায় হাফেজ মোবারক উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাটি কাটা বন্ধ রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

সম্প্রতি তারা আবার মাটি ও বালু উত্তোলন করার চেষ্টা করলে গত ৬ এপ্রিল হাফেজ মোবারক উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৫ মে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ঘটনাস্থল সরজমিন পরিদর্শন করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধ করতে নিষেধ করেন এবং পাইপ ধ্বংস করেন।

গত ৬ মে লুৎফুর রহমানের লোকজন গভীর নলকূপ চালু করে। এতে হাফেজ মোবারকের ধানি জমি বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। গত ৭ মে হাফেজ মোবারকের পিতা জমির পাশে গিয়ে এ অবস্থা থেকে প্রতিবাদ করলে লুৎফুর রহমান ও অলিউর রহমান হাজী আশরাফ আলীর উপর হামলা করে আহত করে। এ ঘটনায় হাফেজ মোবারক বাদি হয়ে লুৎফুর রহমানসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মাধবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে লুৎফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- মোবারক মিয়ার অভিযোগ মিথ্যা।

এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি ও জমিটি সরজমিন গিয়ে দেখা হয়েছে। উধ্বর্তন কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ