• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

নবীগঞ্জে ডাক্তার না পেয়ে বিপাকে রোগীরা

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০

সলিল বরণ দাশ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : করোনা ভাইরাস আতঙ্ক নবীগঞ্জ উপজেলায় বেশিরভাগ চিকিৎসক প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালে ডাক্তাররা রোগীদের পর্যাপ্ত সময় দিচ্ছেন না। এদিকে করোনা ভাইরাস ভীতিতে হাসাপাতালে না গিয়ে প্রাইভেট চেম্বার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভিড় করছেন রোগীরা। চেম্বার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও ডাক্তারের অভাবে সেবা না পেয়ে বিপাকে আছেন রোগীরা।

নবীগঞ্জ পৌর শহর, আউশকান্দি ও ইনাতগঞ্জ বাজারে এমবিবিএসসহ বিশেষজ্ঞ শতাধিক ডাক্তার ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেম্বারে রোগী দেখতেন। পার্শ্ববর্তী উপজেলা বানিয়াচং ও জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে প্রতিদিন ডাক্তার দেখাতে এসব প্রাইভেট চেম্বার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী আসেন।

গত শনিবার বিকালে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা শহরের হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ। চিকিৎসক সংকটে ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা দিতে পারছে না চালু থাকা দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশের মতো ও নবীগঞ্জে উপজেলাও লকডাউনে রয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে ১০ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে প্রত্যেক ডাক্তারের চেম্বার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

কয়েক জন চিকিৎসক জানান, চিকিৎসকরাও মানুষ, তাদেরও পরিবার-পরিজন রয়েছে। তাই চিকিৎসকরাও এক রকম আতঙ্কে, যার কারণে অনেক চিকিৎসক ব্যক্তিগত চেম্বার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।

নবীগঞ্জ হাসপাতাল রোডের হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানাজার মোফাজ্জল চৌধুরী বলেন, আমাদের এখানে কোনো ডাক্তারের চেম্বার না করায় এবং নিরাপত্তা সরঞ্জাম (পিপিই) সংগ্রহ করতে না পারায় নিরাপত্তার স্বার্থে তারা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রেখেছেন।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ৫০ শয্যা হাসাপাতালের প্রধান ডা. আব্দুস সামাদ জানান, গত শনিবার ভর্তি হয়েছে ২০ জন রোগী। আউটডোরে সেবা নিয়েছেন শতাধিক। প্রাইভেট চেম্বার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোয় রোগী দেখা বন্ধ থাকায় সরকারি হাসপাতালের ওপর একটু চাপ পড়েছে।

হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন মো. ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোয় যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে প্রাইভেট চেম্বার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোয় রোগী দেখা বন্ধ করা অমানবিক। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গতকাল হবিগঞ্জ বিএমের নেতৃবৃন্দের সাথে বসেছিলাম। বসে তাদের নিরাপদ দূরত্বে থেকে প্রাইভেট চেম্বার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোয় রোগী দেখতে অনুরোধ করা হয়েছে।

স্বাস্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সর্বশেষ ২১০ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টিনে থাকলেও ইতোমধ্যে ১৯৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৫ জন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ