বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরে কিশোর গ্যাংগের সদস্যরা ইজিবাইকের জন্য চালক আওয়াল কে নির্মম ভাবে খুন করে চা বাগানের নির্জন এলাকায় ফেলে আসে।
গত রোববার সন্ধ্যায় দিকে কিশোর গ্যাংগের তিন সদস্য হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে আওয়াল হত্যার স্বীকারোক্তির জবান বন্ধি দেয়।
একটি মোবাইন ফোনের সুত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা শনিবার রাতে উপজেলার বেলঘর,সন্তোষপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংগের তিন সদস্য কে গ্রেফতার করে।
এসময় মোবাইল ফোন,হত্যায় ব্যবহত ছুরা, ইজিবাইক গাড়ি উদ্বার করে।
গ্রেফতারকৃত দের রোববার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে হাজির করলে কিশোর গ্যাংগের তিন সদস্য রা ১৬৪ ধারায় ইজিবাইক চালক আব্দুল আওয়াল কে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাত পা বেধে,ছুড়িকাঘাত,করে, জবাই করে খুন করে লাশ গুম করারজন্য নির্জন চা বাগানে ফেলে ইজিবাইক ,মোবাইল ছিনতাই করে বলে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে।
গত১৮ মার্চ দুপুরে উপজেলার বেংগা ডোবা গ্রামের আরিছ মিয়ার ছেলে ইজিবাইক চালক আব্দুল আওয়াল(১৮)কে কিশোর গ্যাংগের সদস্যরা পুর্ব পরিকল্পনা করে ভাড়া করে। ছবি উঠানো,ওঘুরতে যাওয়ার কথা বলে সুরমা চা বাগানের কিবরিয়াদ এলাকায় নিয়ে য়ায়। সেখানে তাকে হত্যা করে মোবাইল ও ইজিবাইক ছিনতাই করে নিয়ে যায়। গাড়ি নিয়ে আসায় গাড়ির মালিক একই গ্রামের কামাল মিয়া পরদিন১৯ মার্চ থানায় একটি নিখোজ ভায়েরি করেন। ওই দিন রাতেই সুরমা চা বাগানের কিবরিয়াবাদ ছনখলা এলাকায় হাত পা বাধা জবাই করা আওয়ালের মৃতদেহ উদ্বার করে পুলিশ।
আব্দুল আওয়ালের মামা শাহজাহান মিয়া এব্যাপারে বাদি হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃইকবাল হোসেন জানান ঘটনার পরদিন পুলিশ উপজেলার চৌমুহনী এলাকা থেকে আওয়ালের ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক উদ্বার করা হয়।
মাধবপুর থানার পরির্দশক তদন্ত গোলাম দস্তগীর আহমেদ ও তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিন কিলার কে গ্রেফতার করে।অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। পুলিশ সুএ জানায়। একটি কিশোর অপরাধী চক্র গড়ে উঠেছে।ছিচকে চুরি দিয়ে শুরু করে এখন তারা কিলার। ইজিবাইক চালক আওয়াল হত্যাকান্ডে এদের কাজ।একিশোর গ্যাংগটি চিহ্নত হয়েছে। সখের বসে, মানুষের গাছের নারিকেল, পেপে চুরি দিয়ে তাদের শুরু।৮/১০জন এদের সদস্য। আওয়াল কে খুন করে ইজিবাইক ছিনতাই করে তারা ফেসে গেছে।
সুএ মতে আওয়ালের ইজিবাইক বিক্রিকরে তাদের ভাগে তিন হাজার টাকা পরে।এই টাকা নিয়ে ঘটনার পর পরই ঢাকা শহরে ঘুরতে যায়। খাওয়া দাওয়া ও আড্ডাবাজি করতে গড়ে উঠে একিশোর গ্যাংগ টি। এগ্রুপে সদস্যরা স্কুলের গন্ডি পার হয়নি। একটি স্কুলের খেলার মাটে বসে আওয়ালের ইজিবাইক ভাড়া করে নিযে ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে কিশোরগ্যাংগের সদস্যরা। আওয়াল হত্যর ঘটনায় জড়িত তিন কিশোর গ্রেফতার হওয়ার পর কিশোর অপরাধীর বিষয়টি পুলিশের সামনে আসে।