• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৯ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

সেনাবাহিনী মাঠে নামছে আজ

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০

করাঙ্গীনিউজ: করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয়ভাবে সাধারণ ছুটি ঘোষণাসহ ১০ নির্দেশনা দিয়েছেন। ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি থাকবে। এ সময় বন্ধ থাকবে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। তবে এ ছুটি হাসপাতাল এবং জরুরি সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

এছাড়া করোনার সংক্রমণ রোধের কার্যক্রমে অংশ নিতে আজ থেকে সেনাবাহিনী নামছে। তারা সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পর্যালোচনায় বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেবে। ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’র আওতায় সশস্ত্র বাহিনী মাঠে থাকবে। সোমবার সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য দেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এদিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আগামীকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণে প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ দফার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, জনগণের স্বার্থে মন্ত্রিপরিষদ, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, স্বাস্থ্য এবং রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ১০ দিনের ছুটির সময় ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেয়ার জন্য নামবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে তারা জেলা ও বিভাগীয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে।

সেনাবাহিনী বিশেষ করে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের কেউ নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক সময় পালনে ত্রুটি বা অবহেলা করছে কিনা, তা পর্যালোচনা করবে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরি সেবা চালু থাকবে।

জনসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে, তারা যেন এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হন। অফিস-আদালতের জরুরি কাজ থাকলে তা অনলাইনে করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গণপরিবহন পরিচালনা ও ব্যাংকের কাজ সীমিত রাখতে হবে।

নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে সরকার। যদি তাদের কেউ আক্রান্ত হন, তাহলে ‘ঘরে ফেরা প্রকল্পে’ ব্যবস্থা নেয়া যাবে। জনসাধারণকে যথাসম্ভব গণপরিবহন পরিহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যারা ব্যবহার করবেন তাদের অবশ্যই করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। গাড়িচালকদের গ্লাভস এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ছুটির সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিতভাবে চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

প্রধানমন্ত্রীর ১০ নির্দেশনা প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন- ১. ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি। এরপর ২৭ ও ২৮ মার্চ সরকারি সাপ্তাহিক ছুটি। ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত পরবর্তী ৫ দিন সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এছাড়া ৩ ও ৪ এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটি সাধারণ ছুটির সঙ্গে যোগ হবে। অর্থাৎ ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান ছুটির আওতায় থাকবে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতালসহ জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এসব প্রযোজ্য হবে না। জনসাধারণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ ক্রয় ও চিকিৎসা গ্রহণ ইত্যাদি) কোনোভাবেই ঘরের বাইরে না আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর আগে স্কুল ছুটি ঘোষণার পর দেখা গেছে অনেকেই দেশের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে গেছেন। সাধারণ ছুটি মানে সরাসরি আইসোলেশন না হলেও নিজেকে পৃথক রেখে অন্যকে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা।

২. এ সময়ে যদি কোনো অফিস-আদালতে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করতে হয় তাহলে তাদের অনলাইনে সম্পাদন করতে হবে। সরকারি অফিস সময়ের মধ্যে যারা প্রয়োজন মনে করবেন তারাই শুধু অফিস খোলা রাখবেন।

৩. গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকবে। জনসাধারণকে যথাসম্ভব গণপরিবহন পরিহারের পরামর্শ দেয় হচ্ছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে গণপরিবহন ব্যবহার করবেন তাদের অবশ্যই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গাড়িচালক ও সহকারীদের অবশ্যই গ্লাভস এবং মাস্ক পড়াসহ পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৪. জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

৫. ২৪ মার্চ থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে সশস্ত্র বাহিনী জেলা প্রশাসনকে সহায়তায় নিয়োজিত থাকবে। দেশের ৬৪ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাদের নিজ নিজ জেলার প্রয়োজন অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর জেলা কমান্ডারকে রিকুইজিশন দেবে।

৬. করোনাভাইরাসের কারণে নি্নু আয়ের কোনো ব্যক্তি যদি স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম হন তাহলে সরকারের যে ঘরে ফেরা কর্মসূচি রয়েছে, সে কর্মসূচির মাধ্যমে তারা নিজ নিজ গ্রামে ফিরে গিয়ে আয় বৃদ্ধির সুযোগ পাবেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।

৭. ভাসানচরে এক লাখ লোকের আবাসন ও জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এ সময় যদি দরিদ্র কোনো ব্যক্তি ভাসানচরে যেতে চান তাহলে তারা যেতে পারবেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।

৮. করোনাভাইরাসজনিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় ও অন্নসংস্থানের অসুবিধা নিরসনের জন্য জেলা প্রশাসকদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এ সহায়তা দেয়া হবে।

৯. প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫শ’ চিকিৎসকের তালিকা তৈরি ও তাদের প্রস্তুত রাখবে।

১০. সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাগম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ করে অসুস্থ জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মসজিদে না যাওয়ার জন্য বারবার নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও সম্প্রতি মিরপুরে একজন বৃদ্ধ অসুস্থ অবস্থায় মসজিদে যান।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি পরে মৃত্যুবরণ করেন। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের প্রতি অসুস্থ অবস্থায় মসজিদে নামাজ আদায় করতে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, লকডাউন বলে কিছু নেই। দরকার সোশ্যাল ডিসটেন্স।

সরকার সব সময় এটাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করেছে। নারায়ণগঞ্জে আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। বাংলাদেশ কিন্তু এটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের ডাক্তারদের ভালো করে তোলার সামর্থ্য আছে। আতঙ্কের কিছু নেই। এখন এমন একটি সময় এসেছে যখন পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

আমাদের পুলিশ-আনসার একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা সাংবাদিকরাও নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। জনগণের বিষয়টাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিন্তু রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান, ২৬ মার্চের সব অনুষ্ঠানও কিন্তু বাতিল করেছেন। জনগণের দিকে তাকিয়ে এটা করেছেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব কালকারখানাও বন্ধ থাকবে। তবে বন্ধের এ বাধ্যবাধকতা থাকছে না তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাগুলোর (গার্মেন্ট) ওপর।

অনেক সময় দেখা যায়, সাধারণ ছুটির দিনেও গার্মেন্ট বন্ধ থাকে। এ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গার্মেন্টের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বলেন, ‘ডিজিজটা (করোনা) সংক্রামক। গার্মেন্টে যারা কাজ করেন ফ্যাক্টরি ও তার জায়গা, যেটা আমরা খুব ক্লোজ মনিটরিংয়ে রেখেছি প্রথম থেকে। এখানে কিন্তু একটা জিনিস আছে কেউ যদি ইনফেকটেড হন, তিনি কিন্তু ওই ফ্যাক্টরির বাইরে আর যাচ্ছেন না। কিন্তু ধরেন ৫-৬ জন আক্রান্ত হয়ে যদি ছুটিতে যান তাহলে ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। সেই হিসেবে আগাগোড়াই কন্ট্রোল এনভায়রনমেন্টে, গার্মেন্ট মালিকরাও কিন্তু প্রত্যেকটি জায়গায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হাত ধোয়া, গ্লাভস এবং মাস্ক ব্যবহারের কাজটা করে যাচ্ছেন। সেই হিসেবে তারা ভালো আছেন। সেক্ষেত্রে গার্মেন্ট মালিকরা সিদ্ধান্ত নেবেন তারা কী করবেন।’

মুখ্য সচিব আরও বলেন, গার্মেন্টে আমরা পিপিই তৈরি করছি (পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট), মাস্ক তৈরি করছি। এগুলো তৈরিতে গার্মেন্টের লোকজন আমাদের সহায়তা করছেন। আমরা সোমবার চট্টগ্রাম থেকে ১০ হাজার মাস্ক নিয়েছি, আরও ৯০ হাজার পাচ্ছি। এভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেয়া হচ্ছে। সেজন্য গার্মেন্টের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হচ্ছে না।

ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারী। এতে সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ৯৯ হাজার মানুষ।

বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৮ মার্চ। এরপর দিন দিন এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন তিনজন। সেলফ ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। তাদের অধিকাংশই বিদেশ ফেরত।

করোনার বিস্তার রোধে এরই মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের ওপর। চারটি দেশ ও অঞ্চল ছাড়া সব দেশ থেকেই যাত্রী আসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের সব বিপণিবিতান। এছাড়া মুলতবি করা হয়েছে জামিন ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ছাড়া নিম্ন আদালতের বিচারিক কাজ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ