• Youtube
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৯ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

সুনামগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৫, আটক ১০

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় জলমহালকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পরেই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে এক নারীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে পুলিশ আটক করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় গ্রামের মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের উপ্তিরপাড় গ্রামের পাশে মনুকাটা জলমহাল নিয়ে মো. আলী আহমদ ও ফারুক আহমদের সাথে একই গ্রামের মো. আমির আলী ও হযরত আলীদের বিরোধ চলছিল। বেশ কয়েকমাস ধরেই উভয়পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা চলে আসছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করেই এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ২৫ জন আহত হন।

আলী আহমদের পক্ষে আহতরা হলেন- উপ্তিরপাড় গ্রামের মো. উস্তার আলীর ছেলে আলী পাশা (৩০), মাছিম উল্ল্যার ছেলে মো. ফয়জুল হক (৩২), মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে মো. ফরিদ মিয়া (৩৫)।

অপরদিকে প্রতিপক্ষের মধ্যে আহতরা হলেন- একই গ্রামের মৃত শওকত আলীর ছেলে মো. হযরত আলী (৪০), তার সহোদর মো. ছায়েদ আলী (৪৫) ও আমির আলী (৫০) সহ আরও ১৩ জন।

বাকী আহতদের তাৎক্ষনিক নামও পরিচয় জানা যায়নি। এদের মধ্যে হযরত আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি রাস্তায় কয়েকবার বমি করেছেন বলে জানা যায়।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে গিয়ে হযরত আলীর পক্ষের মো. কদর আলী তার বড় ভাই ওসমানী আলীর স্ত্রী লতিফা বেগমকে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছোরা দিয়ে স্টেপিং করে রক্তাক্ত করেন। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক কদর আলীকে আটক করে।

এ ব্যাপারে আলী আহমদ এর পক্ষের মো. আলী আমজদ জানান, মো. আমির আলী ও হযরত আলী এই দুই সহোদর গ্রামের পাশে মনুকাটা জলমহালটি সরকার থেকে বৈধভাবে লিজ না নিয়ে গত ১৩ বছর ধরে অবৈধভাবে মাছ ধরে আসছিল। এ কাজে গ্রামবাসী বার বার বাধা দিলেও তাদের হুমকিতে লোকজন ছিলেন অসহায়।

অপরদিকে প্রতিপক্ষ আমির আলী জানান, আলী আহমদ ও ফারুক মিয়া পুরো গ্রামবাসীকে একত্রিত করে আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। আমরা প্রায় সময়ই ঘর থেকে বের হতে পারছিলাম না।

১৩ বছর ধরে বিলটি অবৈধভাবে লিজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই জলমহাল অবৈধভাবে ফিসিং করা হয়নি। সরকার থেকে লিজ নিয়েই ফিসিং করা হয়েছে।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে। তবে পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ