শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি সেচ প্রকল্প হবিগঞ্জের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সেচ প্রকল্পের কমিটির কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী এ নোটিশ প্রদান করেন।
নোটিশে আগামী ৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারী সারা জেলায় সেচ প্রকল্পের স্কীম অনুমোদন হয়েছে। উক্ত অনুমোদনকৃত কমিটির কাগজ নিতে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর পিএস খোকন স্কীম অনুমোদনের কমিটির কাগজ নিতে হবিগঞ্জ-লাখাই ও বাহুবল উপজেলার অনুমোদিত প্রকল্প কমিটির লোকজনকে ফোন করে খবর দেন কাগজ নেয়ার জন্য। ফোন পেয়ে কৃষকরা জড়ো হন গত বুধবার সকাল ১০টায় বিএডিসি ভবনে।
এসময় কৃষকরা উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল এর সঙ্গে দেখা করলে তিনি বলেন তার ব্যক্তিগত পিএস খোকন আহমদের কাছে পাঠান।
কৃষকরা খোকনের কাছে গেলে অনুমোদনের কপি নিতে প্রত্যেক সদস্যদেরকে ৩ হাজার টাকা করে দিতে হবে বলে জানান। এ কথা শুনে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েন এবং শুরু হয় কানাঘোষা। এসময় অনেকেই ক্ষিপ্ত হতে দেখা যায়। আবার অনেকেই নিরুপায় ৩ হাজার টাকা বিনিময়ে খোকনের কাছ থেকে অনুমোদনপত্র নিয়ে যায়। খোকনের কাছে টাকা দেয়ার সময় আমাদের এ প্রতিনিধি ক্যামারাবন্দি করেন এবং ঘুষ বানিজ্যেনর বিষয়টিও রেকর্ড করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম, জহুরুল হোসানই, আলী হোসেন, আব্দুর রহমান, আকবর হোসেন, আব্দুস ছালামসহ অনেকেই টাকা চাওয়ার ব্যপারে অভিযোগ করেন। এসময় বিএডিসি ভবনে হট্টগোল শুরু হলে সাংবাদিককরা উপ-সহকারী রাকিবুলের উপস্থিতিতে ভুক্তভোগীরা ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং খোকনের কাছে পাঠানোর কথাও স্বীকার করেন।
এসময় সাংবাদিকরা রাকিবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা বলে এড়িয়ে যান এবং তারাহোড়া করে অফিস থেকে সটকে পড়েন। ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন দীর্ঘদিন যাবত খোকন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এই অফিসে ঘুষ বাণিজ্য করে আসছে। ভয়ে তার ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।