• Youtube
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:১০ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বাহুবলে অপহরণের তিন মাস পর কিশোরী উদ্ধার

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবলে অনেক নটকীয় ঘটনার পর অপহৃতা কিশোরীসহ অপহরণকারী কিশোরের ঠাই হয়েছে শ্রীঘরে। দীর্ঘ তিন মাস ধরে উপজেলার ভেড়াখাল গ্রামের কিশোর কিশোরীর অপহরণের ঘটনা নিয়ে স্বার্থ লুঠেছেন এক আইনজীবি সহকারীসহ কতিপয় মাতব্বর। এনিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভেড়াখাল গ্রামের মৃত মটাই মিয়ার কিশোর পুত্র রমজান আলী (১৭) একই গ্রামের আফরোজ মিয়ার কিশোরী কন্যা আজিদা আক্তার (১২) কে তিন মাস আগে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

রমজান আলী পলাতক অবস্থায় আজিদাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়। এদিকে ঘটনার প্রায় এক মাস পর অপহৃতা আজিদা আক্তারের মা আনোয়ারা খাতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্তের জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। তদন্ত চলা অবস্থায় এক মাস আগে এসংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে উভয় পক্ষের অভিভাবকদের উপজেলা চেয়ারম্যান অফিসে তলব করা হয়।

এরই ভিতর ছেলে পক্ষের আত্নীয় স্বজন আপহৃতাসহ ছেলেকে এক সপ্তাহ আগে চেয়ারম্যান অফিসে হাজির করেন। সেখানে ছেলে মেয়ের বয়স অপরিণত হওয়ায় এবং বিয়ের সপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র উপস্থাপন করতে না পারায় উভয় পক্ষের মুরুব্বিয়ানের উপস্থিতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান বিষয়টি নিরসন না হওয়া পর্যন্ত ছেলেকে তার মায়ের জিম্মায় ও মেয়েকে আইনজীবি সহকারী মাসুম মিয়ার জিম্মায় দেন।

মাসুম মিয়া ভিকটিমকে এখান থেকে সমজিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর পরই উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ভিকটিমকে ছেলের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সাথে সাথে এ বিষয়টি ভিকটিম এর মা আনোয়ারা খাতুন উপজেলা চেয়ারম্যান সহ মুরুব্বিয়ানকে অবহিত করেন।

এক পর্যায়ে আজ শনিবার (০৪ জানুয়ারী) বিকালে মুরুব্বিয়ান ভিকটিককে ছেলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে উপজেলা চেয়ারম্যান অফিসে হাজির করেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান জিম্মাদার আইনজীবি সহকারী মাসুম মিয়ার নিকট থেকে সন্তোষজনক কোন ব্যাখ্যা না পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বাহুবল মডেল থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করেন।

পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আব্দুল মান্নান অপহরণকারী রমজান আলী সহ ভিকটিমকে বাহুবল মডেল থানায় নিয়ে যান।

এব্যাপারে ভিকটিমের মা আনোয়ারা খাতুন জানান, তার কিশোরি কন্যা আজিদা আক্তার ভেড়াখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ালেখা করত। দুই বছর পূর্বে অপহরণকারী রমজান আলীর উৎপীড়নে অতিষ্ট হয়ে তিনি তার মেয়েকে বিদ্যালয় থেকে নিয়ে যান। আর এরই ভিতর তিন মাস আগে রাতের আধারে তার মেয়ে বসত ঘর থেকে অপহৃত হয়।

এব্যাপারে তিনি অপহরণকারী রমজান আলী, মা লক্ষী খাতুন ও মামা মুহিত মিয়া সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি তার মেয়ের সর্বনাশার জন্য মাসুম মিয়া সহ কতিপয় মাতব্বরকে দায়ী করেন।

বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান মিলন জানান এঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করে উভয়কে আদালতে প্রেরণ করা হবে। অপরদিকে রাত ১০ টায় এরিপোর্ট লেখাকালে বাদীনি আনোয়ারা খাতুন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের কাছে অভিযোগের সাথে জানান, তার দেওয়া দরখাস্তে উল্লেখিত ৬ আসামির মাঝে একমাত্র অপহরণকারী রমজান আলীর নাম দিয়ে নতুন ভাবে এজহার দাখিলের জন্য মাসুম সহ ছেলে পক্ষের কতিপয় ব্যাক্তি চাপ সৃষ্টি করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ