শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ: আজ বুধবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুওয়াত লাভের একাদশ বর্ষের রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে মহান আল্লাহর বিশেষ মেহমান হিসেবে আরশে আজিমে আরোহণ করেন। এ রাত অতি পবিত্র ও মহান আল্লাহর অফুরন্ত রহমত-বরকতে সমৃদ্ধ।
মুসলিম জাহানের কাছে এ রাতের তাৎপর্য অপরিসীম। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল দিনভর রোজা রাখা, নফল নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে মুসলমানরা শবে মেরাজ পালন করেন।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ উদযাপনে জাতীয় সংবাদপত্র ও সংবাদ মাধ্যমগুলো বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, ৬২০ খ্রিস্টাব্দের রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত পবিত্র এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহর খাস রহমতে প্রথমে কাবা শরীফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন।
সেখানে নবীদের জামায়াতে ইমামতি করে তিনি ‘বোরাক’ নামের বাহনে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন এবং সিদরাতুল মুনতাহায় (ঊর্ধ্বলোকের শেষ সীমার বরই গাছ, ফেরেশতারা এরপর আর যেতে পারে না) উপস্থিত হন। ওই পর্যন্ত তার সফরসঙ্গী ছিলেন আল্লাহর ফেরেশতা হজরত জিবরাইল (আ.)। তারপর সেখান থেকে তিনি ৭০ হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে আল্লাহর দিদার (সাক্ষাৎ) লাভ করেন। সেখান থেকে তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উপহার নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। মেরাজকালে মহানবী (সা.) সৃষ্টিজগতের সবকিছুর রহস্য স্বচক্ষে দেখেন বলেও উল্লেখ আছে।
আজ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে এই মূল্যবান রাতটি অতিবাহিত করবেন। অনেকে নফল রোজাও রাখেন এ দিন।