- Youtube
- English Version
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
শায়েস্তাগঞ্জে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ইউনিয়নবাসী
- সংবাদ প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪
শাহ মোস্তাফা কামাল, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে: তীব্র তাপদাহ আর দিনে রাতে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নবাসীর জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে-বাইরে কোথাও যেন স্বস্তি নেই। বরং দিন দিন লোডশেডিং বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় চরম ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। সবচেয়ে অসুবিধায় রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এ ছাড়া দিন শেষে রাতেও লোডশেডিং হওয়ায় মানুষ ঠিকমত ঘুমাতেও পারছেন না। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় হবিগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং দিতে হচ্চে। ইউনিয়নবাসীর অভিাযোগ , এক দিনের ২৪ ঘন্টায় মধ্যে গড়ে ৮-১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। মাত্রাতিরিক্ত গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ইউনিয়নবাসীর। অভিযোগ করে আরও বলেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউনিয়ন ও শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নে দুই ঘন্টা পর পর এক থেকে দেড়ঘন্টা করে দিনে ৮/১০ বার লোডশেডিং হচ্ছে । ঘন ঘন লোডশেডিং বিষয় সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে আবুল হোসেন নামে এক ব্যাক্তি বলেন ভালো নেই রে বাবা, বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম সঙ্গে গরমের তীব্রতা এর উপর থাকে না বিদ্যুৎ। ঘন ঘন লোডশেডিং আর বিদ্যুৎ ভেলকিবাজি, এর ওপর মাস গেলেইবিল পরিশোধ না হলে লাইন কাটার হুমকি আমরা অতিষ্ঠি হয়ে গেছি, আমরা আর পারছি না। শুধু আবুল হোসেন নয় নূরপুর ইউনিয়ন ও শায়েস্তগঞ্জ ইউনিয়ন হাজারো মানুষ আজ লোডশেডিং আর বিদ্যুতের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। দিন যত যাচ্ছে বেড়েই চলছে লোডশেডিং সঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাবাসী। লোডশেডিংয়ের ভয়বহ মাত্রায় এলাকায় মানুষের জীবন দুর্বষহ হয়ে উঠেছে।
সাইফুল আলম নামে এক ব্যক্তি বলেন গরমে তো কেবল শুরু হয়েছে, শুরুতেই যদি এইরকম ঘন ঘন লোডশেডিং হয় বাকি গরমতো রয়ে গেছে। অনেকের বাড়িতে অসুস্থ রোগী আছেন বার বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়াতে রোগীদের নিয়ে খুব সমস্যায় পড়তে হয়।
মোঃ রফিক মিয়া ব্যবসায়ী বলেন ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে আমার একটা ফ্রিজ খারাফ হয়েছে ফলে ফ্রিজে থাকা মালামাল দই, আইসক্রীম নষ্ট হয়েছে। এই রকম বার বার লোডশেডিং চলতে থাকলে আমরা ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যেতে হবে। ঘন ঘন লোডশেডিং এর বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ,জেনারেল ম্যানেজার ( জি এম) প্রকৌশলী সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, তীব্র গরমের কারণে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। গরমের কারনে চারদিকে বিদ্যুৎতের চাহিদা বেড়ে গেছে সেই অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে না তাই দফায় দফায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা সহ ঘন ঘন লোড শেডিং এর কারণে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ( জিএম) বলেন আমরা প্রতিটি উপজেলায় সিডিউল অনুযায়ী ডিস্টিভিশন করার চেষ্টা করি। এবং আমাদের ওয়েবসাইটে ও ফেইসবুক পেইজে লোডশেডিং কখন কখন হবে সিডিউল দেওয়া আছে। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
