করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

চুনারুঘাটে নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে নতুন ভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে গিয়ে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গত ২০/০৫/২০১৯ হতে ১৭/০৬/২০১৯ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ করণের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ দেয়। কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১৭/০৬/২০১৯ইং পর্যন্ত নতুন ভোটার তালিকা সংগ্রহ করে।

পরবর্তীতে যারা এ তালিকায় কোন কারণে অন্তর্ভূক্ত হতে পারেনি তাদেরকে গত ১২ জুলাই হতে ১৪ জুলাই ওই ৩ দিনের ভেতরে নিজ নিজ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ভোটার তালিকার ফরম সংগ্রহ করে নতুনভাবে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার সময় দেওয়া হয়।

গত ১২ জুলাই চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের বালিয়ারী গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের ভোটাররা ফরম সংগ্রহ করে ওই ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তারা তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের কর্মরত উদ্যোক্তা মোঃ শরীফ আহমদ তাদের প্রত্যেকের কাছে ১০০ টাকা করে দাবী করে এবং তাদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করে নেয়।

তারা এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট অফিসে কর্মরত উদ্যোক্তা শরীফ আহমদ বলেন, এগুলো চেয়ারম্যান সাহেবকে দিয়ে সত্যায়িত করাতে হবে, তাই ১০০ টাকা করে দিতে হবে।

এ নিয়ে বালিয়ারী গ্রামের দরিদ্র কৃষক আবুল কালামের মেয়ে নাজমা আক্তার এ প্রতিনিধিকে বলেন আমার কাছে টাকা ছিলনা আমি ওই ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট গ্রাম পুলিশ বিষ্ণু দেবনাথের কাছ থেকে ১০০ টাকা কর্জ করে উদ্যোক্তাকে দিয়েছি।

এ বিষয়ে উবাহাটা ইউপির সচিব রান্টু কুমার রায় এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উদ্যোক্তা এভাবে কখনো টাকা নিতে পারে না। এখানে চেয়ারম্যান সাহেবের সত্যায়িত করার কোন কিছুই নেই।

এ বিষয়ে উবাহাটা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রজব আলী বলেন, আমার অফিস থেকে সত্যায়িত করার কথা বলে কেউ টাকা নিয়ে থাকলে এটা সম্পূর্ণ অন্যায় করেছে। আমি ওই উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের কর্মরত উদ্যোক্তা মোঃ শহীদ আহমদকে বার বার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। পরে একবার ফোন রিসিভ করে বলেন, সাংবাদিক ভাই আপনি আমার অফিসে আসেন চা খেয়ে যান, তখন আপনার সাথে কথা হবে।

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বলেন, এ বিষয়টি আমার দপ্তরের কাজ নয়। এটি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন আহমদ ইকবাল বলেন, আমি উপজেলার প্রতিটি মাসিক সভায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি যাতে নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে কারো কাছ থেকে কোন টাকা না নেওয়া হয়। আমি অভিযোগটি জানতে পেয়েছি, সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ