• Youtube
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বাহুবলে শ্রেণিকক্ষে স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছেন শিক্ষক

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় দশম শ্রেণীর এক ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষে বেড়ধক পিটিয়ে আহত করেছে খন্ডকালিন স্কুল শিক্ষক। গুরুতর আহত অবস্থায় স্কুল ছাত্রকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা হক তিন সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি তিন কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ প্রদান করেন।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পুটিজুরী শরৎ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীতে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ছাত্র উপজেলার মীরেরপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে দশম শ্রেণীর ছাত্র রায়হান আহমদ।

জানা যায়, ক্লাস শুরু ১০টায় হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষক ক্লাসে না আসায় ছাত্ররা ক্লাসরুমে হৈ হুল্লুর করছিল। সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার বাঘেরখাল গ্রামের খন্ডখালিন শিক্ষক শাহজাহান মিয়া দশম শ্রেণীতে গিয়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই রায়হানকে মারধোর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি সকল ছাত্রদের রুম থেকে বের করে দিয়ে তাকে ওই রুমে তালাবদ্ধ করে রাখেন। রায়হানের বাড়ি স্কুলের পাশে থাকায় তার অবিভাবকরা তার কান্নার শোর চিৎকার শুনতে পান। পরে তারা এসে রায়হানকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স পরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ দিকে শিক্ষকের বেড়ধক মারপিঠে ছাত্রের হাতের হাতের কব্জি ভেঙ্গে যাওয়ায় তাকে দ্রুত এ্যাস্বুলেন্স যোগে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ছাত্ররা অভিযোগ করেন খন্ডকালিন শিক্ষক আইনুল হক, স্বপন চন্দ্র পাল কিছু দিন আগেও শিক্ষার্থীদের প্রচন্ড বেত্রাঘাত করে আহত করেন। তারা প্রধান শিক্ষকের লোক। স্কুলে শিক্ষকদের দুই গ্রুপ থাকার কারনে ছাত্ররাও দুই গ্রুপে বিভক্ত বলে জানান এক স্কুল শিক্ষক।

নাম প্রকাশে অনিচ্চুক এক শিক্ষক বলেন, হয়ত রায়হান বিরোধী কোন শিক্ষক গ্রুপের ছিল তাই তাকে এভাবে পিঠানো হয়েছে। যা সত্যি দু:খ জনক। তিনি আরো বলেন, শিক্ষক বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের কাউকে না জানানোর জন্য সকল শিক্ষকদের বলে দেয়। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি জানেন। এক শিক্ষক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানাতে চাইলে খন্ডখালিন শিক্ষক শাহজাজান বাধা দেয়। তিনি প্রধান শিক্ষক গ্রুপের সাথে আছেন বলেও জানান তিনি।

অন্য আরেক শিক্ষক বলেন, শিক্ষক রাজনীতির কবলে পড়ছে সাধারন ছাত্ররাও। ছাত্রদেরকেও শিক্ষকদের রাজনীতির পিছনে কাজ করানো হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি শাহ আব্দুল আহাদ বলেন, আমি মামলার কাজে হবিগঞ্জ ছিলাম, ফোনে শুনেছি বিস্তারিত বলতে পারব না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানুপ্রিয় চক্রবর্তীকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি। তবে তিনি ট্রেনিংয়ে আছেন বলে জানা গেছে।

বর্তমানে দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রধান শিক্ষক দুলন চন্দ্র দাস বলেন, আমি খুব ব্যস্থ ,বাহুবল মিটিংয়ে যেতে হবে, এখন বলা যাবে না পরে বলব।

বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা হক বলেন, আমি মোবাইল কোর্টে যাচ্ছিলাম, বেলা একটার দিকে দেখতে পাই বিদ্যালয়ের ছাত্ররা চলে যাচ্ছে। কেন ছুটি দিয়ে দিল সেটা জানতে ভিতরে প্রবেশ করে বিষয়গুলি জানতে পারি। পরে ছাত্রকে সিলেট যাওয়ার সময় এ্যাম্বুলেন্সে তাকে দেখতে পাই। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে তথা শিক্ষা অফিসারকেও বিষয়টি জানায়নি। তাৎক্ষনিক উপজেলা সহাকারী কমিশনার (ভূমি)কে আহব্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ